ইউরোপবাংলা ডেস্কঃ আন্তর্জাতির শরণার্থী ও অভিবাসী সংস্থা জানিয়েছে , লিবিয়ার উপকূলে ইউরোপমুখী একটি নৌকা ভেঙে ডুবে গেলেন অন্তত ৭৪ জন শরণার্থী। গত বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটে। ১লা অক্টোবরের পর থেকে মাত্র এই ক’দিনে ভূমধ্যসাগরে ৮টি নৌকা বা জাহাজ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল। নৌকাটিতে ছিলেন ১২০ জনেরও বেশি শরণার্থী। ছিলেন বহু মহিলা ও শিশু। বৃহস্পতিবার আল-খুমসে লিবিয়ার বন্দরের কাছে নৌকাটি ভেঙে পড়ে।
আন্তর্জাতির শরণার্থী সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, লিবিয়ার উপকূলরক্ষী বাহিনী ও মত্স্যজীবীরা মাত্র ৪৭ জনকে উদ্ধার করে সৈকতে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। ৩০ টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
অক্টোবরেই সেনেগালে নৌকাডুবিতে প্রাণ যায় কমপক্ষে ১৪০ জন শরণার্থীর। প্রায় ২০০ জন শরণার্থীকে নিয়ে সফর করার সময় নৌকাটি ডুবে যায়। এ কথা জানায় ইন্টারন্যাশনাল অফিস ফর মাইগ্রেশন। ‘IOM ট্যুইট করে জানায়, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। গত সপ্তাহে ভূমধ্যসাগরে ঘটে এই দুর্ঘটনা।’ আগে সেনেগালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, এই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৬০ জনকে।
এই ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ফরেন অ্যাফেয়ার্স প্রধান জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘সমুদ্রে আরও একটা দুঃখজনক ঘটনা। মানবপাচারকারীরা এ ধরনের ঘটনার সুযোগ নেয়।’
গত শনিবার এমবাওয়ারের উপকূল শহর থেকে ছাড়ে নৌকাটি। তার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। নৌকাটিতে আগুন ধরে যায়। সেনেগালের কর্তৃপক্ষ জানায়, নৌকার জ্বালানির ড্রাম থেকে নৌকাটিতে আগুন ধরে যায়। এরপরই সেনেগালের উত্তর-পশ্চিম উপকূলে সেন্ট লুইতে ডুবে যায় ওই নৌকা।
আরও খবর পড়ুন:
- পর্তুগালের লিসবনে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন অর্থ সহায়তা
- স্পেনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত