Saturday, এপ্রিল ২০, ২০২৪

পর্তুগালের চাকুরিজীবিরা লে-অফেও অবকাশকালীন ভাতা পাবেন

ইউরোপ  বাংলা ডেস্ক : ২০২০ সালের সকল পরিকল্পনা উলটপালট হয়ে গেছে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান,  রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রেই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। মহামারী এমন কিছু বিষয় আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে যা আমরা পূর্বে কখনোই সম্মুখীন হইনি। মূলত সবাই একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি ব্যক্তিগত পর্যায়ে কর্মজীবী মানুষেরা আয় কমে যাওয়ায় ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন , প্রতিবছরের ন্যায় অবকাশ কাটানো একটা অভ্যাসে পরিণত হলো ও এবছর অবকাশ টা একটু কঠিন হয়ে পড়েছে দুটি কারণে একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি অপরটি ব্যক্তিগত অর্থনৈতিক অবস্থা। তবে স্বাস্থ্যবিদদের মতে, বর্তমান মহামারীর ঘরে বন্দীদশার কারণে সকলের এক ধরনের মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে মুক্তি পেতে হলে অবকাশ এর বিকল্প নেই।

 

তাই অবকাশ যাপনের জন্য পর্তুগালের কর্মজীবীরা পূর্বের ন্যায় অবকাশকালীন ভাতা পাবেন , ডি জি আর টি (Direção geral de emprego e das relações de trabalho)এবং এ সি টি (Autoridade para as Condições do Trabalho) স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, লে অফ কর্মচারীরা কোন ধরনের ছাড় ছাড়াই অবকাশ এবং ভাতা পাওয়ার অধিকারী।

পর্তুগালের শ্রমকোডের ৩০৬ এর ১ এবং ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শ্রম চুক্তি বলবৎ থাকা অঅবস্থায যে কোন অবস্থাতেই অবকাশকালীন ছুটি এবং ভাতা বলবৎ থাকবে।

অর্থাৎ শ্রম চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী বছরের হিসাব করে যে তারিখে অনুযায়ী কর্মরত ছিলেন হিসেব অনুযায়ী উক্ত পিরিয়ডের জন্য অবকাশ ভাতা এবং বড়দিনের ভাতা পাবেন।

আরো পড়ুন  ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিজস্ব পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে

লে অফ কর্মীরা অবকাশকালীন সময়ে তার সাধারণ পারিশ্রমিকের দুই তৃতীয়াংশের পরিমাণ বা লে-অফ থাকাকালীন সময়ে যে পরিমাণ পেতেন এর মধ্যে যেটি বড় সেই পরিমাণ অবকাশকালীন ভাতা হিসেবে পাবেন।

শ্রম আইন ২৪১ এর 3 অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছোট বড় মাঝারি যে কোন প্রতিষ্ঠান নিয়োগকর্তা পহেলা মে থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যেকোনো সময় অবকাশ যাপনের সূচি নির্ধারণ করতে পারেন তবে ব্যতিক্রম যদি কর্মীদের চাহিদা বা কোন ধরনের ওয়াদা থাকে। তবে সাধারণত অবকাশকালীন ছুটি নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীর আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হয়ে থাকে।

পর্যটন খাতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে কেননা পহেলা মে থেকে ৩১ অক্টোবর সাধারণত পর্যটকদের ভিড় থাকে সেকারণে বেশিসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী অবকাশে প্রেরণ করা সম্ভব হয় না তবে উক্ত সেক্টরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এই সময় অবকাশকালীন সময়ের ২৫% গ্রহণ করার অধিকার রয়েছে।

 

পর্তুগালের আরও খবর পড়ুন 

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

ফরিদ আহমেদ পাটওয়ারি

আমি প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে পর্তুগালে বসবাস করছি। এখানে জীবন-জীবিকার পাশাপাশি পর্তুগিজ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছি। পর্তুগালের পথচলা ২০১৫ সালে তবে এর পূর্বে বাংলাদেশে একটি স্বনামধন্য রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত ছিলাম। শিক্ষাজীবন ঢাকা কলেজ থেকে ২০০৪ সালে স্নাতক ডিগ্রি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং বলাখাল জে এন হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক । বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট থেকে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্স তাছাড়া শিক্ষাজীবন এবং কর্মজীবনে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট, ব্যবস্থাপনা, আইটি সম্পর্কিত বিভিন্ন স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে যুক্ত ছিলাম। ২২ বছরের কর্মজীবন কেটেছে মিডিয়া, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, আইটি,  সেলস এন্ড মার্কেটিং এবং মার্চেন্ডাইজার হিসেবে। ফটোগ্রাফি, লেখালেখি, ভ্রমণ এবং টেকনোলজির প্রতি আগ্রহ রয়েছে শখ ও বলা যায়। এরমধ্যে লেখালেখিটা শক্ত হাতে ধরেছি, সুন্দর একটা পরিবর্তন এর আশায়। জীবনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী গঠনে মানুষের সহযোগিতায় কাজ করে যাওয়া।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

I agree to the Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফেসবুকে ইউরোপ বাংলা